কম পরিচর্যায় ভালো থাকে যেসব ইনডোর প্লান্ট
পর্যাপ্ত আলো বাতাস ছাড়া কয়েকটি ইনডোর প্লান্ট খুব সহজেই বেড়ে উঠে। কম পরিচর্যায় ভালো থাকে যেসব ইনডোর প্লান্ট আজকে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো

বাড়ি অথবা অফিস সাজাতে ইনডোর প্লান্ট এর জুড়ি মেলা ভার। ঘরের সৌন্দর্যে বৃদ্ধির পাশাপাশি বাতাস বিশুদ্ধ রাখতে ইনডোর প্লান্ট অনেক ভূমিকা রাখে। অনেকেই মনে করে ইনডোর প্লান্ট মানে বেশ ঝামেলা বরং অনেকগুলো ইনডোর প্লান্ট আছে যেগুলো কম পরিচর্যায় ভালো থাকে। পর্যাপ্ত আলো বাতাস ছাড়াও বেশ কয়েকটি ইনডোর প্লান্ট খুব সহজেই বেড়ে উঠে। কম পরিচর্যায় ভালো থাকে যেসব ইনডোর প্লান্ট আজকে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো
অনেকেই বারান্দায় নিজের শখের বাগান তৈরি করতে চান। তারা বারান্দায় স্পাইডার প্ল্যান্ট, মানি প্লান্ট, লাকি ব্যাম্বু, স্নেক প্ল্যান্ট, জিজি প্ল্যান্ট এই ৫ টি গাছ লাগাতে পারেন। এই গাছগুলো অল্প যত্নেও ভালোভাবে বেড়ে উঠে।
স্পাইডার প্ল্যান্ট
ইনডোর প্লান্টের মধ্যে সব থেকে সুন্দর প্লান্টগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে স্পাইডার প্লান্ট। স্পাইডার প্লান্টের খুব বেশি যত্ন নিতে হয় না। এই প্লান্ট মাটি, নারিকেলের খোসা এবং পানির মধ্যে অনায়াসে বেড়ে উঠতে সক্ষম। যাদের ঘরে আলো বাতাস সেভাবে আসে না তারা সপ্তাহে ১/২ বার গাছকে বের করে আলোময় কোন জায়গায় কিছুক্ষণ রাখতে পারেন। স্পাইডার প্লান্টের জন্য সরাসরি সূর্যের আলো প্রয়োজন হয় না। খুব বেশি কড়া রোদে রাখলে গাছটির পাতা এবং বিভিন্ন অংশ পুড়ে যাবে। এই গাছে কখনোই বেশি পানি দেওয়া যাবে না। সপ্তাহে একবার অথবা মাসে ৩ থেকে ৪ বার পানি দিলে হবে।
মানি প্লান্ট
দুইভাবে মানি প্লান্ট রোপণ করা যায়। পানিতে এবং মাটিতে। পানিতে রোপণ করা মানি প্লান্টের জন্য ভালো। পানিতে রোপণ করলে এই গাছের খুব বেশি যত্ন নিতে হয় না। সপ্তাহে ২ বার পানি দিতে হয়। সূর্যের আলো এই গাছের জন্য উপকারী, তবে খুব বেশি রোদে এই গাছ রাখবেন না। সেজন্য ঘরের এই রকম একটি স্থানে গাছটি রাখবেন যেখানে আলো বাতাসের প্রবাহ বেশি থাকে। ঘরের মধ্যে যদি আলো বাতাস একদম প্রবেশ না করে সেক্ষেত্রে সপ্তাহে ১ দিন কিছুক্ষণ ঘরের বাহিরে রাখুন যেখানে আলো বাতাস প্রবাহ করে। মাসে একবার পুরোনো পাতা পরিষ্কার করুন।
আরও পড়তে পারেন:
বাড়ির অবহেলিত খালি জায়গাগুলো সাজিয়ে তুলবেন যেভাবে
লাকি ব্যাম্বু
কম আলোতে ভালো থাকে লাকি ব্যাম্বু। তাই বারান্দায় অথবা জানালার পাশে না রাখলেও হবে। পরিষ্কার পানি লাকি ব্যাম্বুর জন্য জরুরি। এক সপ্তাহ অথবা দশ দিনে পানি পরিষ্কার করতে হবে। পানিতে ময়লা জমতে দেওয়া যাবে না। পাতা যেগুলো হলদেটে হয়ে গেছে সেগুলো ছাঁটাই করে ফেলুন। পাতা হলুদ হওয়ার কারণ হচ্ছে পানি লবণাক্ত হওয়া। তাই পাতা হলদেটে হলে পানি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। আর স্বল্প যত্নে ইনডোর প্লান্ট ভালো রাখার আইডিয়া বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। যেগুলো অনুসরণ করলে আপনার অন্দর প্লান্টগুলো অনায়াসে ভালো রাখতে পারবেন।
স্নেক প্ল্যান্ট
স্নেক প্লান্ট কম যত্নেও ভালো থাকে। এই গাছের জন্য মাটি এবং পানি উভয়ই প্রয়োজন। তবে পানি বেশি দিলে শেকড় পচে যাবে। বর্ষার সিজনে পানি না দিলেও হবে। শীতকালে প্রতি ২ মাসে ১ বার পানি দিতে হবে। কিন্তু খুব বেশি পানি দেওয়া যাবে না। সূর্যের আলো সরাসরি গাছের উপর পড়তে দেওয়া যাবে না। সূর্যের আলো গাছের উপর পড়লে পাতা পুড়িয়ে ফেলতে পারে।
জিজি প্ল্যান্ট
জিজি প্লান্ট বাড়ির স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ভালোভাবে বেড়ে উঠে। মাটি শুকিয়ে গেলে পানি দিতে হবে। ২ সপ্তাহে ১ বার পানি দিতে হবে। তবে অতিরিক্ত পানি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। জিজি প্লান্টের জন্য আলো বাতাসের তেমন প্রয়োজন হয় না। ঘরের ভিতরে থাকা আলো বাতাসে জিজি প্লান্ট খুব দ্রুত বেড়ে উঠবে। পাতায় ধুলো জমা হতে পারে। একটি ভেজা কাপড় ব্যবহার করে সেগুলো ধুয়ে ফেলুন।
পরামর্শ
স্বল্প যত্নে ইনডোর প্লান্ট ভালো রাখার বেশ কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। যেগুলো অনুসরণ করলে আপনার অন্দর প্লান্টগুলো অনায়াসে ভালো রাখতে পারবেন। এতে আপনার খুব বেশি টাকা ও খরচ হবে না এবং এগুলোতে জামেলা ও অনেক কম
গাছ শুধু ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না ঘরের তাপমাত্রা কে কমিয়ে ঘর কে রাখে শীতল । কর্মব্যস্ত জীবনে মনকে প্রশান্তির জন্য ঘরে রাখতে পারেন ইনডোর প্লান্ট। বর্তমানে ইনডোর বাগানে খুব বেশি খরচ হয় না। আপনি চাইলে স্বল্প খরচে একটি ইনডোর বাগান করতে পারে। যা আপনার বারান্দা অথবা বেডরুমে করতে পারেন। স্পাইডার প্ল্যান্ট, মানি প্লান্ট, লাকি ব্যাম্বু অথবা অন্য কেন গাছ দিয়ে বাগান তৈরি করতে পারেন।
One Comment