বাথরুম পরিষ্কার রাখবেন যেভাবে

জীবাণু থেকে রক্ষা পেতে বাথরুম পরিষ্কার করা জরুরি। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে বাথরুম রাখতে পারেন ঝকঝকে।

গোসলখানা পরিষ্কার রাখার উপায়

বাথরুম ঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এটি পরিবারের সকল সদস্যরা ব্যবহার করে থাকে। অপরিচ্ছন্ন বাথরুম থেকে বিভিন্ন রোগব্যাধি ছড়াতে পারে। তাই বাথরুম বা গোসলখানা সবসময় পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।

গোসলখানা অথবা বাথরুম নোংরা হলে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। বাথরুম পরিষ্কার করা বিরক্তিকর কাজগুলোর মধ্যে একটি। বাথরুমের বিভিন্ন কর্নারে ময়লা আবর্জনা জমে থাকে। এই ময়লা আবর্জনা এবং দুর্গন্ধ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তাই ময়লা আবর্জনা দূর করার জন্য নিয়মিত গোসলখানা পরিষ্কার করা উচিত।

সাধারণ কিছু কৌশল অবলম্বন করেই বাথরুম পরিষ্কার রাখা যায়। জেনে নিন বাথরুম পরিষ্কার রাখার উপায়

শাওয়ার হেড পরিষ্কার করুন

শাওয়ার হেড গোসলখানার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। বর্তমানে প্রত্যেকটি বাথরুমে ঝরনা থাকেই। এই উপকরণগুলো মরিচা ধরতে পারে। কিছু কিছু ঝরনায় পানি বিশুদ্ধ করার জন্য ফিল্টার দিয়ে থাকে, যা পানি কে সতেজ এবং পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে বাথরুম ময়লা আবর্জনা একত্রিত হয়ে রোগ জীবাণু ছড়াতে পারে। যা বাচ্চা এবং বয়স্ক দেড় জন্য বেশি ক্ষতিকর।

কমোড পরিষ্কার রাখুন

বাথরুমের দুর্গন্ধ মূলত কমোড থেকে হয়। এই দুর্গন্ধ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বাথরুমের দুর্গন্ধ থেকে বিভিন্ন রোগব্যাধি ছড়াতে পারে। বাথরুমের দুর্গন্ধ থেকে সংক্রামক ব্যাধির শিকার হতে পারে।

ভিনেগার এবং বেকিং সোডা মিশিয়ে কমোডের গায়ে ছিটিয়ে দিন। কিছুক্ষণ পরে কমোড ভালোভাবে মুছে ফেলুন। 

কমোড কমপক্ষে ১০ মিনিট টয়লেট ক্লিনার দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ব্রাশ দিয়ে তা পরিষ্কার করে নিন।

ভেন্টিলেটর রাখুন ঝকঝকে

ভেন্টিলেটর বাথরুমের উপরের অংশে থাকে। সে জায়গা আমরা অনেক সময় পরিষ্কার করতে অলসতা করি। ভেন্টিলেটর দিয়ে বাতাস চলাচল করে। এই জায়গাটুকু পরিষ্কার রাখা জরুরি। দীর্ঘদিন ভেন্টিলেটর পরিষ্কার না করলে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে।

আরও পড়তে পারেন:

রান্নাঘর থেকে তেলাপোকা তাড়ানোর উপায়

ঘরের আসবাবপত্র কীভাবে ভালো রাখবেন

পর্দা পরিষ্কার রাখুন

গোসলখানায় আমরা সাধারণত পর্দা এবং তোয়ালে ব্যবহার করে থাকি। পর্দা এবং তোয়ালে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। নিদিষ্ট কিছুদিন পরপর পর্দা ধৌত করতে হবে। তোয়ালে বা গামছা একদিন বা দুইদিন পরপরই ধৌত করতে হবে।

আয়না পরিষ্কার রাখুন

বাথরুমের আয়নাতে সবসময় পানি পড়ে। বাথরুমের আয়না অপরিচ্ছন্ন হওয়া স্বাভাবিক। এটি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। আয়না পরিষ্কার করতে টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। টুথপেস্ট আয়না তে মেখে নিন। তারপর একটি ভেজা নরম কাপড় দিয়ে ভালোভাবে মেঝে এবং দেয়াল পরিষ্কার করে নিন।

মেঝে এবং দেয়াল পরিষ্কার রাখুন

গোসলখানার মেঝে এবং দেয়াল পরিষ্কার করতে হবে। বিভিন্ন জীবাণু পড়ে থাকতে পারে বাথরুমের মেঝেতে। ব্লিচিং পাউডার দিয়ে গোসলখানার মেঝে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। একটি ব্রাশ নিয়ে দাগের ওপর ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ঘষুন। জীবাণুনাশক ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। চার মাস অথবা ৬ ছয় মাস পর পর ব্রাশটি পরিবর্তন করুন।

সুগন্ধি ব্যবহার করুন

বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির এয়ারফ্রেশনার পাওয়া যায়। বাথরুমের দুর্গন্ধ থেকে রোগব্যাধি হতে পারে। বাথরুমের দুর্গন্ধ দূর করতে এয়ারফ্রেশনার ব্যবহার করুন।

যত্রতত্র জিনিস রাখা যাবে না

অতিরিক্ত কোনো জিনিস বাথরুমে না রাখা উচিত। বাথরুম যতটুকু সম্ভব গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি ব্যবহার শেষে যত্রতত্র না রেখে নির্ধারিত স্থানে রাখুন, তাহলে বাথরুমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর করুন

গোসলখানার মেঝে শুঁকনো রাখুন। স্যাঁতসেঁতে বা ভেজা গোসলখানা থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। গোসলখানা ভেজা রাখলে বিভিন্ন কীটপতঙ্গের উপদ্রব বাড়বে। যেগুলো থেকে সংক্রামক ব্যাধির শিকার হতে পারে। গোসল শেষ করার পর দরজা কিছুক্ষণ খোলা রাখুন। তাহলে গোসলখানার মেঝে শুকিয়ে যাবে।

শেষকথা

বাথরুমে জীবাণুদের উপদ্রব সব থেকে বেশি থাকে। বেকিং সোডা এবং ভিনেগার দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার করতে পারেন। গোসলখানার প্রতিটি কর্নার পরিষ্কার করতে হবে। পরিবারের সকল সদস্যের সুরক্ষার জন্য গোসলখানা পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *