ঘর সাজানোর টুকিটাকি জিনিসপত্রের তালিকা
ঘর সাজাতে খুব বেশি বাজেটের প্রয়োজন হয় না। স্বল্প খরচে টুকিটাকি জিনিসপত্র দিয়ে অনায়াসে আপনার ঘরকে সাজিয়ে তুলতে পারবেন। এটি আপনার সৃজনশীল মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

ঘর হচ্ছে আমাদের শান্তির নীড়। সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটানোর পর দিনশেষে আমরা বাড়িতে ফিরে আসি। সাজানো গোছানো ঘরে প্রবেশ করার পর মনে এক ধরনের প্রশান্তি আসে। এটি শুধু মানসিক প্রশান্তি নয় এটি আপনার সৃজনশীল এবং রুচিশীল মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। ঘর সাজানোর টুকিটাকি জিনিসপত্র দিয়ে আপনি ঘরকে করে তুলতে পারেন প্রাণবন্ত এবং আকর্ষণীয়।
আমরা মনে করি ঘর সাজানোর জন্য আমাদের বড় একটি বাজেট নির্ধারণ করতে হবে। এটি আমাদের ভুল ধারণা। স্বল্প খরচে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে আপনার ঘরটি রাঙিয়ে তুলতে পারবেন। বেডরুম, ড্রয়িংরুম এবং রান্নাঘরের টুকিটাকি জিনিসপত্র দিয়ে সাজিয়ে ঘরকে করে তুলুন শান্তির নীড়।
ঘর সাজানোর টুকিটাকি জিনিসপত্র
রাঙিয়ে তুলুন দেয়াল
বাড়ির সাজানোর ক্ষেত্রে দেয়াল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বেডরুম বা ড্রয়িংরুমের দেয়ালে বিভিন্ন সাইজের ছবি লাগিয়ে মেমোরি ওয়াল তৈরি করতে পারেন। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে বিশেষ কোনো কালার অথবা সিন দিয়ে বাড়ির দেয়াল সাজিয়ে নিতে পারেন।

পর্দা, বিছানা এবং কুশন কভার
ঘরের সৌন্দর্য অনেকাংশে নির্ভর করে পর্দার উপর। ঘরের পরিবেশ অনুযায়ী হালকা রং বা গাঢ় রং ব্যবহার করতে পারেন। তবে হালকা রঙের পর্দা ঘরের শোভা বৃদ্ধি করে। বর্তমানে ফ্লোরাল প্রিন্টের পর্দার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন ফুল এবং পাখির ছবি সংশ্লিষ্ট এই পর্দাগুলো ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
বিছানা এবং কুশন কভার নির্ধারণের ক্ষেত্রে লাইট এবং বেডরুমের রঙের উপর নির্ভর করে। আপনি চাইলে পর্দার সাথে সমন্বয় করে এগুলো নিতে পারেন। তাহলে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ। এছাড়াও ফ্লোরাল প্রিন্টের কুশন কভার নিতে পারেন।
আরও পড়তে পারেন: আকর্ষণীয় ড্রয়িং রুম সাজানোর সেরা ৬টি টিপস ২০২৫
লাইটিং
ঘর সাজানোর টুকিটাকি জিনিসপত্রের মধ্যে লাইটিং রাখতে পারেন। রং এবং প্রাকৃতিক আলোর সাথে সমন্বয় করে লাইটিং করতে পারলে ঘরে অসাধারণ লুক ফুটে উঠবে। পর্দা বা দেয়ালের জন্য ফেয়ারি লাইট, বিছানার জন্য লেড স্ট্রিপ লাইট এবং এছাড়াও টেবিল ল্যাম্প, ফ্লোর ল্যাম্পসহ আরো বিভিন্ন ধরনের লাইটিং সরঞ্জাম রাখতে পারেন।

বুক শেলফ
আধুনিক ইন্টেরিয়র ডিজাইনে বুক শেলফ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বই সাজিয়ে রাখতে পারেন এবং তা বিভিন্ন শো-পিস এবং গাছ দিয়ে তা সাজিয়ে নিতে পারেন।
ফুলদানি
নিজের হাতে বানানো ফুলদানি দিয়ে ঘরের বিভিন্ন কর্নার, পড়ার টেবিল এবং হোম অফিস ডেস্ক সহ অন্যান্য জায়গা সাজিয়ে তুলতে পারেন। এছাড়াও চাইলে আর্টিফিশিয়াল ফুলের জন্য মার্কেট থেকে বিভিন্ন ফুলদানি সংগ্রহ করতে পারেন।

ওয়াল শেলফ
বেডরুম, ড্রয়িংরুম অথবা রান্নাঘর যেকোনো স্থানে ওয়াল শেলফ রাখতে পারেন। এটি স্টোরেজ ব্যবস্থার পাশাপাশি ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। ওয়াল শেলফে ঘর সাজানোর টুকিটাকি জিনিসপত্র রাখলে তা খুব সহজেই খুঁজে বের করা যায়।

ইনডোর প্লান্ট
ইনডোর প্লান্ট ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করে। এটি বাতাসে থাকা ক্ষতিকর টক্সিন চুষে নিয়ে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাই ঘর সাজাতে অবশ্যই ইনডোর প্লান্ট রাখতে পারেন।
সাজসজ্জার অন্যান্য উপকরণ
ছোট ছোট সাজসজ্জার জিনিস দিয়ে ঘরকে ফুটিয়ে তুলুন প্রাণবন্ত করে। এটি ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘরকে করে আকর্ষণীয়।
- আর্টিফিশিয়াল ফুল ব্যবহার করুন।
- টেবিল বা বুক শেলফে ফুলদানি রাখুন।
- ঘর সাজাতে হাতে বানানো বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখুন।
- ঘরের বিভিন্ন কর্নারে ফুল রাখতে পারেন।
- বইগুলো বুক শেলফে সাজিয়ে রাখুন।
- ফেলনা জিনিস দিয়ে হাতে বানানো বিভিন্ন ধরনের ঘর সাজানোর উপকরণ তৈরি করুন।
- ক্যান্ডেল হোল্ডারে মোমবাতি সাজিয়ে রাখুন।
শেষকথা
ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাদ দিয়ে টুকিটাকি জিনিস দিয়ে ঘর সাজান। অতিরিক্ত মালামাল ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট করে। স্বল্প খরচে কম জিনিস দিয়ে ঘর সাজিয়ে নিজের সৃজনশীল মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ করুন।